টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন
জাপানি ক্রিয়ার তিনটি শ্রেণিবিভাগ (পাঠ 40)
জাপানি ক্রিয়াগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রুপের ক্রিয়া সুনির্দিষ্ট ছক মেনে চলে। “প্রথম গ্রুপে” আছে ঐসব ক্রিয়াপদ যাদের "মাস্" অংশের আগে থাকে ই-কারান্ত উচ্চারণ। এর একটি উদাহরণ হল "কাকিমাস্" (লেখা)। এই গ্রুপের ক্রিয়াগুলোর রূপান্তরের সময় "মাস্" অংশের আগের সিলেবলটি বদলে যায়।চলুন "কাকিমাস্" (লেখা) ক্রিয়াটির আভিধানিক রূপ তৈরি করা যাক। এক্ষেত্রে "মাস্" অংশের আগে থাকা "কি" উচ্চারণটি বদলে গিয়ে হয়ে যাবে "কু", তাহলে আভিধানিক রূপটি পেলাম "কাকু"। আবার এই ক্রিয়াটির "তা" রূপ, অর্থাৎ অতীত বা সম্পন্ন রূপ গঠন করতে হলে "মাস্" অংশের আগে থাকা "কি" উচ্চারণটির পরিবর্তে বলুন "ই", এবং সঙ্গে জুড়ে দিন "তা"। তাহলে পেলাম "কাইতা"( লিখেছে, লিখেছেন, লিখেছি, লিখিত, ইত্যাদি। ) ক্রিয়ার "মাস্" অংশের আগের সিলেবলটি কিভাবে বদলে যায় তা গানে গানে আপনারা শিখেছেন ১২তম পাঠে। অনুগ্রহ করে তা আবার ঝালাই করে নিন।
“দ্বিতীয় গ্রুপে” আছে ঐসব ক্রিয়া যাদের "মাস্" অংশের আগে থাকে এ-কারান্ত উচ্চারণ।
এর একটি উদাহরণ হচ্ছে "তাবেমাস্" (খাওয়া)। এর আভিধানিক রূপ বানাতে হলে "মাস্" বাদ দিয়ে জুড়ে দিন "রু", তাহলে হয়ে গেল " তাবেরু" আর "তা" রূপ বানাতে শুধু "মাস্" বাদ দিয়ে জুড়ে দিন "তা", হয়ে গেল "তাবেতা" (খেয়েছে, খেয়েছেন, খেয়েছি ইত্যাদি)। তবে “দ্বিতীয় গ্রুপে” কতগুলো ক্রিয়ার "মাস্" অংশের আগে ই-কারান্ত উচ্চারণ দেখতে পাওয়া যায়, যেমন "মিমাস্" (দেখা বা তাকানো)। অবশ্য এ রকম ক্রিয়ার সংখ্যা খুবই কম।
“তৃতীয় গ্রুপে” আছে মাত্র দুটি ক্রিয়াপদ, "শিমাস্" (করা), এবং কিমাস্ (আসা)। এই ক্রিয়া দুটির রূপান্তর ব্যতিক্রমী। তবে এদের সংখ্যা মাত্র দুটি বলে ক্রিয়ারূপগুলো মনে রাখা কঠিন নয়। কাজেই দয়া করে এগুলো মনে রাখুন।
"শিমাস্" (অর্থাৎ করা), ক্রিয়াটির আভিধানিক রূপ "সুরু", এবং এর "তা" রূপ হচ্ছে "শিতা" ( করেছে, করেছি, -কৃত ইত্যাদি)। আর "কিমাস্" (আসা) ক্রিয়াটির আভিধানিক রূপ হচ্ছে "কুরু" এবং "তা" রূপটি হচ্ছে "কিতা"(এসেছে, এসেছি ইত্যাদি)।
বহুল ব্যবহৃত কতগুলো জাপানি ক্রিয়াপদের "তে" রূপ এবং "নাই" রূপসহ অন্যান্য ক্রিয়ারূপের ছক এই ওয়েবসাইটে এবং পাঠ্যবইয়ে দেওয়া আছে। দরকারমত আপনারা আগের পাঠগুলোর শিক্ষণ উপকরণ মেনু দেখে নেবেন।