টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন
সম্মানজ্ঞাপক অভিব্যক্তি (পাঠ 38)
বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজন, উচ্চতর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, শিক্ষক, গ্রাহক, অথবা স্বল্পপরিচিত বা একেবারে অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় সম্মানজ্ঞাপক রূপ ব্যবহার করা হয়। এমনকি যাদের সঙ্গে সচরাচর নৈমিত্তিক ভঙ্গিতে কথা বলা হয়, তাদের সঙ্গেও দাপ্তরিক বৈঠকের মত আনুষ্ঠানিক পরিবেশে সম্মানজ্ঞাপক রূপ ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ কোন্ পরিবেশে কথা বলা হচ্ছে সেটাই মুখ্য।সম্মান জ্ঞাপনের জন্য ক্রিয়ার দুই রকম রূপ ব্যবহার করা হয়। এর একটি হল “শ্রদ্ধাসূচক রূপ”। শ্রোতা বা আলোচ্য ব্যক্তির কোন কাজ অথবা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে এই রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন "মিমাস্" ( দেখা), ক্রিয়াটির “শ্রদ্ধাসূচক রূপ” হল "গোরান নি নারিমাস্"। অন্য একটি রূপ হল “বিনয়সূচক রূপ।” এই রূপটি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের কোন কাজ বা পরিস্থিতির কথা বিনয়ের সঙ্গে প্রকাশ করে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো যায়। এই পাঠে ট্যাক্সি চালক যখন বলতে চাইলেন, “বুঝতে পেরেছি”, তখন তিনি এর সাধারণ জাপানি অর্থ "ওয়াকারিমাশ্তা" বলেননি। বরং তিনি বিনয় প্রকাশ করে বলেছেন, "কাশিকোমারিমাশ্তা"।
সম্মানজ্ঞাপক শব্দমালা ব্যবহার করাটা কঠিন মনে হলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই। সাধারণ কথাবার্তায় ক্রিয়াপদের "মাস্" রূপ ব্যবহার করলেই তা যথেষ্ট মার্জিত শোনাবে।