টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন
কর্মবাচ্যের অভিব্যক্তি (পাঠ 23)
কর্মবাচ্য তখনই ব্যবহার করা হয় যখন আমরা ক্রিয়ার ফলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বা বস্তুর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি বলতে চাই। এক্ষেত্রে ক্রিয়ার কর্মবাচ্য রূপ ব্যবহার করা হয়, এবং মূল কর্তার পর বসে পার্টিকেল, "নি"।এবার ক্রিয়ার মাস্-রূপ থেকে কর্মবাচ্য রূপ কিভাবে গঠন করা যায় তা বলা যাক। প্রথমত যদি ক্রিয়াটির মাস্ -অংশটির আগে থাকে এ-কারান্ত উচ্চারণ, সেক্ষেত্রে মাস্ অংশের আগে জুড়ে দিতে হবে "রারে"। কাজেই, কেউ খায়, অর্থাৎ, "তাবেমাস্" কথাটি হয়ে যাবে "তাবেরারেমাস্"(কোনকিছু খাওয়া হয়।)
দ্বিতীয়ত, যদি মাস্-অংশের ঠিক আগে থাকে ই-কারান্ত উচ্চারণ, তাহলে দুই রকম নিয়ম প্রযোজ্য।
একটি নিয়ম হল, ই-কারান্ত উচ্চারণটিকে প্রথমে বদলে ঐ বর্গের আ-কারান্ত উচ্চারণ বানানো, তারপর এর সঙ্গে -রে- এবং –মাস যুক্ত করা। যেমন, "শিকারিমাস্"(বকা দেওয়া) ক্রিয়াটির ক্ষেত্রে, মাস্- অংশের আগে থাকা "রি" বদলে করুন "রা", এবং এরপর জুড়ে দিন "রে"। তাহলে এই ক্রিয়াটির কর্মবাচ্য রূপ হবে "শিকারারেমাস্" (বকা খাওয়া)। "শিমাস্" (করা), এই ক্রিয়াটির কর্মবাচ্য হবে "সারেমাস্"(সম্পন্ন হওয়া)।
অন্য নিয়মটি হল, "মাস্" অংশের আগে "রারে" জুড়ে দেওয়া।
"মিমাস্"(দেখা) ক্রিয়াটির কর্মবাচ্য হবে "মিরারেমাস্" (দৃষ্ট হওয়া, দেখা যাওয়া)।
সবশেষে এমন একটি ক্রিয়া যেটি এসব নিয়মে পড়ে না। "কিমাস্" (আসা বা পরিদর্শন করা), এই ক্রিয়াটির কর্মবাচ্য হল "কোরারেমাস্ " (পরিদর্শিত হওয়া)।
এসব ব্যতিক্রম মুখস্থ রাখলে কাজে দেবে।
এ প্রসঙ্গে "শিক্ষণ উপকরণ" মেনু দেখুন।