এনএইচকে ওয়ার্ল্ড > সহজে জাপানি ভাষা > মূল পৃষ্ঠা > টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন > ক্রিয়াপদকে বিশেষ্যপদে রূপান্তরের নিয়ম (পাঠ 47)

টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন

ক্রিয়াপদকে বিশেষ্যপদে রূপান্তরের নিয়ম (পাঠ 47)

ক্রিয়াপদকে বিশেষ্য বানাতে হলে ক্রিয়ার সরল রূপের সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে “নো” অথবা “কোতো”।উল্লেখ্য, ক্রিয়ার সরল রূপ হচ্ছে আভিধানিক রূপ এবং –তা রূপ।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক এই পাঠের মূল বাক্য দিয়েই, যার অর্থ, জাপানি ভাষার শিক্ষক হওয়াই আমার স্বপ্ন। হওয়া ক্রিয়াটির জাপানি হচ্ছে, “নারিমাস্‌”, এবং এর আভিধানিক রূপটি হল “নারু”। এবার এই ক্রিয়াটির বিশেষ্য বানাতে এর আভিধানিক রূপের সঙ্গে জুড়ে দিন “নো”, তাহলে পাচ্ছি “নারু নো”, অর্থাৎ হওয়ার ব্যাপার বা বিষয়, যা কিনা একটি বিশেষ্য পদ। কাজেই, জাপানি ভাষার শিক্ষক হওয়াই আমার স্বপ্ন – এটি জাপানিতে হবে “নিহোংগো-কিয়োওশি নি নারু নো গা ইয়ুমে দেস্‌”।

“নো” কথাটির পরিবর্তে “কোতো” কথাটিও ব্যবহার করা যায়। কাজেই, “নারু নো” (হওয়ার বিষয়), কথাটিকে অন্যভাবে বলা যাবে “নারু কোতো”। আর “নারু কোতো” ব্যবহার করলে পুরো বাক্যটি হবে “নিহোংগো-কিয়োওশি নি নারু কোতো গা ইয়ুমে দেস্‌”।

তবে বাক্য শেষ করার “দেস্‌” পার্টিকেলের ঠিক আগে থাকা কোন ক্রিয়াপদের বিশেষ্যরূপ যদি বানাতে চান, তাহলে শুধু “কোতো” ব্যবহার করা যাবে। যেমন ধরুন বলতে চান, আমার স্বপ্ন জাপানি ভাষার শিক্ষক হওয়া। এখানে আমার স্বপ্ন, মানে হল “ওয়াতাশি নো ইয়ুমে”। কাজেই পুরো জাপানি কথাটি হবে “ওয়াতাশি নো ইয়ুমে ওয়া নিহোংগো-কিয়োওশি নি নারু কোতো দেস্‌”।
অন্যদিকে, ক্রিয়াপদের পর শুধুমাত্র “নো” যুক্ত করে বিশেষ্য পদ বানানো হয় সেই ক্ষেত্রে, যখন এগুলোর পরে দেখা বা শোনা ইত্যাদির মত অনুভব-প্রকাশক ক্রিয়াপদ থাকে।
“পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে পাচ্ছি”, এই বাক্য দিয়ে নিয়মটির ব্যবহার দেখা যাক।

“পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে পাচ্ছি” -কথাটিতে “পাখি” মানে হল “তোরি”। “কিচিরমিচির করা” কথাটির জাপানি হচ্ছে “নাকিমাস্‌”। এর আভিধানিক রূপ “নাকু”। কাজেই এই বাক্যে পাখিদের কিচিরমিচির কথাটির জাপানি হবে, “তোরি গা নাকু নো গা”। আর শোনা যাচ্ছে মানে “কিকোয়েমাস্‌”। তাহলে একসঙ্গে পুরোটা হবে, “তোরি গা নাকু নো গা কিকোয়েমাস্‌”, অর্থাৎ পাখিদের কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে।
*আপনি এনএইচকে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবেন।