টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন
ক্রিয়ার আজ্ঞাসূচক রূপ (পাঠ 25)
ক্রিয়াপদের মাস্-রূপ থেকে অনুজ্ঞা, অর্থাৎ আদেশ বা নির্দেশবাচক রূপ তৈরি করার নিয়মগুলো শেখা যাক। প্রথমত, যেসব ক্রিয়ার মাস্-রূপের ঠিক আগে এ-স্বর উচ্চারণ, বা এ-কার যুক্ত ব্যঞ্জন থাকে, সেক্ষেত্রে মাস্ বাদ দিয়ে সেখানে জুড়ে দিন "রো"। যেমন, “তাবেমাস্" (খাওয়া) হয়ে যাবে "তাবেরো" (খাও)। আবার, যেসব ক্রিয়ার মাস্-রূপের ঠিক আগে ই-স্বর উচ্চারণ, বা ই-কার যুক্ত ব্যঞ্জন থাকে, সেক্ষেত্রে দুই রকম নিয়ম হতে পারে।একটি নিয়মে কতগুলো ক্রিয়ার "মাস্" অংশটি বদলে "রো" বানাতে হয়। যেমন "ওকিমাস্"(জেগে ওঠা) কথাটি হয়ে যাবে "ওকিরো"(ওঠ)।
অন্যান্য ক্রিয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় নিয়ম প্রযোজ্য। সেটি হল, মাস্ বাদ দিয়ে এর ঠিক আগে থাকা ই-কারান্ত ব্যঞ্জন উচ্চারণটিকে এ-কারান্ত বানানো। যেমন এই পাঠে জেনেছেন, প্রবেশ করা বা ঢোকা কথাটির জাপানি হচ্ছে "হাইরিমাস্"। এটি এই নিয়মে বদলে গিয়ে দাঁড়ায় "হাইরে" (প্রবেশ কর, বা ঢুকে পড়, পড়ুন, ইত্যাদি)।
তবে এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম হল “কিমাস্" (আসা)। এটির অনুজ্ঞা রূপ হচ্ছে "কোই"(এসো)।
ক্রিয়ার অনুজ্ঞা রূপটি দিয়ে জোরালো আদেশ বা নির্দেশ বোঝায়। এটি সচরাচর পুরুষরা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব অথবা ছোটদের উদ্দেশে ব্যবহার করে থাকেন। মহিলারা সাধারণত এটি ব্যবহার করেন না।
পুরুষ বা মহিলা উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন এমন একটি মার্জিত অনুরোধের ভঙ্গি হল, ক্রিয়ার মাস্ অংশটি বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে জুড়ে দিন "নাসাই"।
তাহলে “তাবেমাস্" (খাওয়া) ক্রিয়াটির অনুরোধবাচক রূপ হবে "তাবেনাসাই"(প্লিজ খান)। এবং "হাইরিমাস্" ( প্রবেশ করা বা ঢুকে পড়া) ক্রিয়াটি হবে "হাইরিনাসাই" (ঢুকে পড়ুন বা প্রবেশ করুন)।
এ প্রসঙ্গে "শিক্ষণ উপকরণ" মেনু দেখুন।