এনএইচকে ওয়ার্ল্ড > সহজে জাপানি ভাষা > মূল পৃষ্ঠা > টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন > ক্রিয়াপদের তা-রূপ (পাঠ 12)

টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন

ক্রিয়াপদের তা-রূপ (পাঠ 12)

ক্রিয়াপদের তা-রূপটি হচ্ছে ক্রিয়ার সেই পরিবর্তিত রূপ যখন ক্রিয়ার শেষে "তা" অথবা "দা" থাকে। এটি হল ক্রিয়ার অতীত বা সম্পন্ন রূপ। এবার ব্যাখ্যা করা যাক কিভাবে ক্রিয়ার "মাস্‌" রূপকে বদলে তা-রূপে পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে একেবারে মূল নিয়ম হল, "মাস্‌" অংশটির পরিবর্তে "তা" যুক্ত করা। যেমন "নারেমাস্‌"(অভ্যস্ত হওয়া), ক্রিয়াটি হয়ে যায় "নারেতা"। লক্ষ্য করুন যে "নারেমাস্‌" কথাটিতে "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবল হচ্ছে "রে" এবং এর স্বর উচ্চারণটি হল "এ"। একইভাবে, যেসব ক্রিয়ার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের উচ্চারণটি "এ" বা এ-কারান্ত বর্ণের উচ্চারণ, তাদের সবগুলোকেই এই নিয়মে পরিবর্তন করা যায়। আবার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের উচ্চারণে "ই" থাকা কিছু কিছু ক্রিয়াপদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।

এবার আরেকটি নিয়ম। এই নিয়মে শুধু "মাস্‌" অংশ নয়, বরং এর আগের সিলেবলটি সহ বদলে ফেলতে হয়।

এক্ষেত্রে যদি "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি হয় "রি", তাহলে "রি" এবং "মাস্‌" একসঙ্গে, অর্থাৎ "রিমাস্‌" সরিয়ে দিয়ে জুড়ে নিতে হবে "ত্তা"। কাজেই, "আৎসুমারিমাস্‌" (জড়ো হওয়া), ক্রিয়াটি হয়ে যাবে "আৎসুমাত্তা"। ক্রিয়ার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগে "ই" অথবা "চি" থাকলেও এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ "ইমাস্‌" বা "চিমাস্" বাদ দিয়ে যুক্ত করে নিন "ত্তা"।

ক্রিয়ার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি যদি হয় "মি", "নি" অথবা "বি", তাহলে এই "মি মাস্‌", "নি মাস্‌" অথবা "বি মাস্‌" বাদ দিয়ে জুড়ে দিন "ন্‌দা"। উদাহরণস্বরূপ, "ইয়োমিমাস্‌" (পড়া) ক্রিয়াটি হয়ে যাবে "ইয়োন্‌দা"।

যদি ক্রিয়ার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি হয় "কি", তাহলে শুধু "মাস্‌" অংশটুকু বাদ দিয়ে জুড়ে দিন "ইতা"। তাহলে "কিকিমাস্‌" (অর্থাৎ শোনা), ক্রিয়াটির তা-রূপ হবে "কিতা"। আবার, যদি ক্রিয়ার "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি হয় "গি", তাহলে শুধু "মাস্‌" অংশটুকু বাদ দিয়ে জুড়ে দিন "ইদা"। এই নিয়মে "ইসোগিমাস্‌"(তাড়াতাড়ি করা), ক্রিয়াটির তা-রূপ হবে "ইসোইদা"।

তবে এই নিয়মটির একটি ব্যতিক্রমও আছে, আর সেটি হল "ইকিমাস্‌" ( যাওয়া)। এই ক্রিয়াটির তা-রূপ হবে "ইত্তা"।

আসলে, জাপানি ক্রিয়াপদের তা-রূপ গঠনের নিয়ম কিন্তু হুবহু তে-রূপ গঠনের মতই। তে-রূপ গঠনের নিয়ম ৮ম এবং ৯ম পাঠে রয়েছে। ঠিক একই নিয়মে শুধু –তে উচ্চারণের স্থলে –তা এবং –দে উচ্চারণের স্থলে –দা লাগিয়ে দিলেই হয়ে গেল।

গানের মাধ্যমে তা-রূপ গঠন করার এই নিয়ম শেখা যাক। গানটিতে দেখানো হচ্ছে, "মাস্‌" কথাটার পূর্ববর্তী সিলেবলের ভিত্তিতে তা-রূপ বানানোর নিয়ম।
পরিশিষ্ট দেখুন।
*আপনি এনএইচকে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবেন।