টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন
ক্রিয়াপদের আভিধানিক রূপ (পাঠ 11)
জাপানি অভিধানে ক্রিয়াপদের এই রূপটি দেখতে পাওয়া যায়। ক্রিয়ার এই রূপটি ব্যবহার করা হয় বাক্যালাপের নৈমিত্তিক ভঙ্গিতে।জাপানি ক্রিয়ার "মাস্" রূপ থেকে আভিধানিক রূপ গঠন করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। প্রথমত, যদি ক্রিয়ার "মাস্" অংশটির ঠিক আগের সিলেবলটি হয় "এ" বা এ-কারান্ত উচ্চারণ, তাহলে সেই ক্রিয়ার "মাস্" অংশটি সরিয়ে "রু" জুড়ে দিতে হবে। যেমন,"তাবেমাস্" (খাওয়া), ক্রিয়াটির আভিধানিক রূপ হবে "তাবেরু"।
আবার, যদি ক্রিয়ার "মাস্" অংশটির ঠিক আগের সিলেবলটি হয় "ই" বা ই-কারান্ত উচ্চারণ, তাহলে আভিধানিক রূপ গঠনের দুটি নিয়ম প্রযোজ্য।
এরূপ কতগুলো ক্রিয়ার ক্ষেত্রে "মাস্" বাদ দিয়ে "রু" জুড়ে দিতে হবে। যেমন, "ওরিমাস্" (অবতরণ করা), ক্রিয়াটির আভিধানিক রূপ হবে "ওরিরু"।
অন্য দিকে, কতগুলো ক্রিয়ার ক্ষেত্রে "মাস্" অংশটি সরিয়ে তার ঠিক আগে থাকা "ই" স্বর উচ্চারণটি বদলে "উ" বানাতে হবে। এই নিয়মে "ইকিমাস্" (যাওয়া) ক্রিয়াটির "কি" উচ্চারণ বদলে "কু" বানালে আমরা পাবো এর আভিধানিক রূপ "ইকু"।
জাপানি ভাষায় এমন দুটি ব্যতিক্রমী ক্রিয়াপদ রয়েছে যেগুলো এইমাত্র উল্লেখ করা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। ক্রিয়া দুটি হচ্ছে "কিমাস্" (আসা), এবং "শিমাস্" (করা)। আভিধানিক রূপের ক্ষেত্রে "কিমাস্" হয়ে যায় "কুরু" এবং শিমাস্" হয়ে যায় "সুরু"। এ রকম ব্যতিক্রমী ক্রিয়ার সংখ্যা কেবল এই দুটিই, এবং এগুলো খুবই সচরাচর ব্যবহৃত ক্রিয়াপদ। তাই, এই দুটি ক্রিয়াপদ ভাল করে শেখার চেষ্টা করুন।
"শিক্ষণ উপকরণ" মেনু দেখে আভিধানিক রূপ গঠনের নিয়ম জেনে নিন।